শ্বসনতন্ত্র (Respiratory System)
শ্বসন (Respiration)
যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবকোষস্থ খাদ্যবস্তু (শর্করা) অক্সিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে জারিত হয়ে খাদ্যস্থ স্থিতি শক্তি গতিশক্তি ও তাপশক্তিতে রূপান্তরিত ও মুক্ত হয় এবং উপজাত হিসাবে পানি ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয় তাকে শ্বসন বলে।
শ্বসন (Respiration)
যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবকোষস্থ খাদ্যবস্তু (শর্করা) অক্সিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে জারিত হয়ে খাদ্যস্থ স্থিতি শক্তি গতিশক্তি ও তাপশক্তিতে রূপান্তরিত ও মুক্ত হয় এবং উপজাত হিসাবে পানি ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয় তাকে শ্বসন বলে।
শ্বসনের প্রকারভেদ
শ্বসন দুই প্রকার। যথা- (ক) সবাত শ্বসন ও (খ) অবাত শ্বসন। যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের অংশগ্রহণ অপরিহার্য, তাকে সবাত শ্বসন বলে। সবাত শ্বসনে ১ অণু গ্লুকোজ হতে শক্তি এবং ৬ অণু পানি পাওয়া যায়। কতিপয় ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ছাড়া মানুষসহ সকল জীবে সবাত শ্বসন হয়। মানবদেহে শক্তি উৎপাদনের প্রধান উৎস শ্বসন। মানবকোষের অভ্যন্তরে মাইটোকন্ড্রিয়ায় শ্বসন হয়। এজন্য মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শ্বসন অঙ্গানু বলা হয়। অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে যে শ্বসন হয় তাকে অবাত শ্বসন বলা হয়। মানুষ ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বাসকার্য সম্পন্ন হয়। ফুসফুসে বায়ুর প্রবেশকে প্রশ্বাস এবং ফুসফুসে বায়ু ত্যাগকে নিঃশ্বাস বলা হয়। মানুষ প্রশ্বাসে অক্সিজেন গ্রহণ করে এং নিঃশ্বাসের সাথে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে। বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ২৫% এর বেশি হলে কোনো প্রাণি বাঁচতে পারে না।
শ্বসনতন্ত্রের অংশ
১) নাসা গহবর (Nsal Cavity)
২) গলবিল (Pharynx)
৩) স্বরযন্ত্র (Larynx)
৪) ট্রাকিয়া (Trachea)
৫) ব্রঙ্কাস (Bronchus)
৬) ফুসফুস (Lungs)
ফুসফুস: একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতা ৬ লিটার। স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতি ২০ মিনিটে ১০০০ ঘনফুট নির্মল বায়ু প্রয়োজন হয়। মানুষের ডান ফুসফুসে ১০টি এবং বাম ফুসফুসে ১০টি ব্রঙ্কোপালমোনারি সেগমেন্ট থাকে। ফুসফুস হৃদপিন্ড দ্বিস্তরবিশিষ্ট পাতলা পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে, একে প্লিউরা বলে।
রোগ
ফুসফুসের প্রদাহকে নিউমোনিয়া বলে।
শ্বসনতন্ত্রের অংশ
১) নাসা গহবর (Nsal Cavity)
২) গলবিল (Pharynx)
৩) স্বরযন্ত্র (Larynx)
৪) ট্রাকিয়া (Trachea)
৫) ব্রঙ্কাস (Bronchus)
৬) ফুসফুস (Lungs)
ফুসফুস: একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতা ৬ লিটার। স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতি ২০ মিনিটে ১০০০ ঘনফুট নির্মল বায়ু প্রয়োজন হয়। মানুষের ডান ফুসফুসে ১০টি এবং বাম ফুসফুসে ১০টি ব্রঙ্কোপালমোনারি সেগমেন্ট থাকে। ফুসফুস হৃদপিন্ড দ্বিস্তরবিশিষ্ট পাতলা পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে, একে প্লিউরা বলে।
রোগ
ফুসফুসের প্রদাহকে নিউমোনিয়া বলে।